গাজর। কেন খাব ? সর্তকতা। Carrot Health Benefits and Side Effect

 গাজর খাওয়ার উপকারিতা।

গাজরের সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। গাজর খুবই পুষ্টিকর এবং পরিচিত একটি শীতকালীন সবজি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের সারা বছরই গাজর পাওয়া যায়। তবে শীতকালে এর  এর স্বাদ বেশি ভালো লাগে। আমরা অনেকেই গাজরের উপকারিতা  সম্বন্ধে বেশি কিছু জানিনা  এবং গাজরে কি পরিমাণ পুষ্টি গুণ আছে সেই সম্পর্কেও আমাদের  ভালো ধারনা নেই।

গাজর। কেন খাব ? সর্তকতা। Carrot Health Benefits and Side Effect


গাজরে কি কি উপাদান আছে Carrot vitamin

গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ,প্রোটিন  ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম। এ কারণে গাজর কে সুপার ফুডও বলা হয়। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান পেতে পারি।

হলুদ কী? ব্যবহার, স্বাস্থ্য সুবিধা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

ঘৃতকুমারী কী? ব্যাবহার , পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং স্বাস্থ্যাঝুকি|

 নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের কি কি উপকার হবেঃ

Carrot benefits

 চলুন জেনে নেয়া যাক নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের কি কি উপকার হবেঃ

চোখের দৃষ্টি ভালো রাখেঃ

গাজর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা পরবর্তীতে  ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ চোখে সুস্থ রাখার সাথে সাথে অন্যান্য সমস্যাও দূর করে ।তাই দীর্ঘদিন চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত গাজর খান।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ

বর্তমান সময়ে উচ্চরক্তচাপ সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। প্রাথমিকভাবে আপনি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে প্রচুর পরিমাণে গাজর খেতে পারেন। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ,ম্যাগনেশিয়াম  যার ফলে গাজর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত গাজর খান। এতে উপকৃত হবেন।

ত্বক সুস্থ রাখেঃ

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য রয়েছে বিশেষ উপাদান। যা ত্বককে খুব সহজে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।গাজর অন্যতম  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম এর মত আরো কিছু খনিজ পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে ।গাজরের এই উপাদানগুলো আপনার ত্বককে  সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এসব উপাদান ত্বক শুকিয়ে যাওয়া স্কিনকে উন্নত করা  এবং ত্বকে বিভিন্ন দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।

যদি আপনার ত্বক সুস্থ ও সতেজ ও সুন্দর রাখতে চান এবং আপনার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করতে চান  তবে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হৃদযন্ত্র সচল রাখেঃ

যদি আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং অ্যাক্টিভ থাকেন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপমুক্ত থাকেন  তাহলে আপনার হৃদযন্ত্র সচল এবং সুস্থ থাকবে। ঘুম এবং সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত  স্বাস্থ্যকর বা পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সেগুলির মধ্যে গাজর অন্যতম। কারণ এতে উপস্থিত রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন ,লোপেন। এই উপাদানগুলো ধমনীর ভিতর  কোলেস্টেরলের আস্তরন জমতে বাধা দেয়, ফলে রক্ত চলাচল  স্বাভাবিক থাকে এর ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।

হাড় মজবুত রাখতেঃ

বর্তমান সময়ে  হাড় দুর্বল হয়ে পড়া। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে না পারা, রাতে ঘুমোতে গেলে পা ব্যথা করা  সহ  দেখা দিচ্ছে  নানা সমস্যা।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান ,ভিটামিন ও  ক্যালসিয়াম  হাড় সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।একটি মাঝারি আকারের গাজরে   পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ লবণ রয়েছে। যার ফলে গাজর খেলে  হাড় ভালো মজবুত থাকে।

দাঁত ভালো রাখতেঃ

দাঁত যদি সুস্থ ও সুন্দর চান। দাঁতের যত্নের পাশাপাশি গাজর খাওয়া শুরু করুন। তবে কাঁচা গাজর খেলে দাঁত পরিষ্কার ও ভালো থাকে। আপেল ও পেয়ারার পাশাপাশি গাজর কিন্তু দাঁতের মাড়ি শক্ত  ও মজবুত করে। গাজর খুব সহজেই মুখের ভেতর জমে থাকা বিভিন্ন খাবারের উপাদান  মুখ থেকে বের করে দিতে এবং মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান যা দাঁত পরিষ্কার রাখতে  এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে  কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।তাই আপনি যদি দাঁত ভালো রাখতে চান তাহলে  গাজর খাওয়া শুরু করুন।

 লিভার ভালো রাখেঃ

গাজরের মধ্যে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি লিভারের পিত্ত এবং ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে।গাজরে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার যা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা। যা আপনার কোলনের মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে  উদ্দীপনা দিতে সাহায্য করে। 

প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে লিভারের প্রদাহ এবং সংক্রমণ কমে যায়। এছাড়াও লিভারের হেপাটাইটিস, সিরোসিসের মতো সমস্যা  থেকে লিভার কে রক্ষা করে।

বয়স ধরে রাখেঃ

বয়সের ছাপ কমাতে গাজর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গাজর বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে এবং কোষের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। তাই আপনি যদি আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত গাজর খান।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

গাজরে থাকা নানা উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গাজর আমাদের শরীর থেকে ফ্রি-রেডিকেল দূর করতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত গাজর খেলে কোলন ক্যান্সার ,ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

তাই আমাদের সবার উচিত নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়ায়ঃ

গাজরে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ উপাদান, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারায়।তাই রোগবালাই থেকে সুস্থ থাকতে গাজর খাওয়া উত্তম।

গাজর খাওয়ার সর্তকতাঃ

  • আপনার যদি কিডনির সমস্যা থাকে তবে গাজর খাওয়া যাবে না।
  • ডায়াবেডিস রোগে থাকলে গাজর বেশি খাওয়া যাবে না। যেহেতু গাজর অনেক  মিষ্টি।
  • প্রযোজনের বেশি গাজর খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • বদহজম গ্যাসের সমস্যা এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে গাজর বেশি খেলে।

৬বছর বয়স হতে বৃদ্ধ ব্যাক্তি সবাই গাজর খেতে পারবেন।তবে পরিমান মতো খান।

সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

আল্লাহাফেজ।





 

<
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post